Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd জুন ২০২৪

মুন্সিগঞ্জ জেলার পর্যটন স্পটের ইতিহাস

            

ইতিহাস :

          অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের অন্যতম বিক্রমপুর একটি প্রাচীন  সমৃদ্ধ জনপদের নাম। সৌন্দর্যের অপরুপ মুন্সিগঞ্জ পদ্মাব্রীজ-জোনের আওতাধীন শিমুলিয়া ফেরিঘাট, এ ঘাটে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু সহ পদ্মা নদীর আকাবাকা বিরল দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পদ্মানদীর নির্জনতা ঘিরে প্রকৃতির কোলে অথৈ জলরাশির মেলা, বনভূমির শীতল পরশ, নদীর নীরবতা মায়াবী পরিবেশ আর ঢেউয়ের রাশি রাশি কনা উৎফুল্ল করে তোলে পর্যটকদের মন। ইদ্রাকপুর দূর্গ মুন্সিগঞ্জ শহরে অবস্থিত একটি মোঘল স্থাপত্য। রসুবাদা ও সেনা পতী মীর জুমলা ১৬৬০ খ্রিঃ বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরে তদান্তীন ইছামতি নদীর পশ্চিম তীরে ইদ্রাকপুর নামক স্থানে এই দূর্গটি নির্মাণ করেন। ৮২ মিটার দৈঘ ৭২ মিটার আয়তকার নির্মিত ইটের তৈরী। এই দূর্গটি তৎকালীন মগ জলদস্যু ও পর্তুগিজ আক্রমনের হাত থেকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সমগ্র এলাকাকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত হয়। সুরঙ্গ পথে ঢাকা লালবাগের কেল্লার সাথে যোগাযোগ ছিল বলে প্রচলিত আছে। সুউচ্চ প্রাচীর বিশিষ্ট এই দূর্গের প্রত্যেক কোনায় রয়েছে একটি বৃত্তকার বেষ্টনী। এক মাত্র খিলানাকার দরজাটি অবস্থান উত্তর দিকে পূর্ব দিকে দেয়ালের মাঝামাঝি ৩৩ মিটার ব্যাসের একটি গোলাকার উচুঁ মঞ্চ রয়েছে। দুর থেকে শক্রর চলাচল পর্যবেক্ষনের জন্য প্রায় প্রতি দূর্গে এই ব্যবস্থা ছিল। পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই দূর্গটি দেখার জন্য শতশত দেশী বিদেশী পর্যটক আসেন। পুরনো স্মৃতি জানার জন্য স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী আসেন। এই দূর্গটি দেখা পর্যটকদের বারতি আনন্দ যোগায়। মুন্সিগঞ্জ পদ্মাব্রীজ জোনের আওতাধীন স্যার বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ীতে রয়েছে মিউজিয়াম ও জাদুঘর। এই বিজ্ঞানীর বাড়ীতে যাদুঘর ও ৬টি ঘাট বাধানো পুকুর। এই দৃশ্য উপভোগ করার জন্য অনেক দর্শনার্থী আসেন। স্কুল কলেজের ছাত্ররা বারতি কিছু জানার জন্য শেখার জন্য বিজ্ঞানীর ব্যবহ্নত যাদুঘরে রাখা আসবাবপত্র দেখে অনেক কিছু উপভোগ করতে পারেন। প্রাচীন বিক্রমপুর এককালে ফরিদপুর জেলার বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। তবে বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাঁচটি উপজেলা অর্থাৎ মুন্সিগঞ্জ সদর, সিরাজদীখান, লৌহজং, শ্রীনগর এবং টুঙ্গিবাড়ী থানা ই কেবল বিক্রমপুর পরিচয় বহন করে। প্রাচীনকাল থেকেই বিক্রমপুর শিক্ষা দিক্ষা জ্ঞান বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চায় উপমহাদেশের একটি পীঠস্থান হিসেবে গন্য হয়ে আসছে।

 

ইদ্রাকপুর দূর্গ :

          ইদ্রাকপুর দূর্গ মুন্সিগঞ্জ শহরে অবস্থিত একটি মোঘল স্থাপত্য। রসুবাদা ও সেনা পতী মীর জুমলা ১৬৬০ খ্রিঃ বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরে তদান্তীন ইছামতি নদীর পশ্চিম তীরে ইদ্রাকপুর নামক স্থানে এই দূর্গটি নির্মাণ করেন। ৮২ মিটার দৈঘ ৭২ মিটার আয়তকার নির্মিত ইটের তৈরী। এই দূর্গটি তৎকালীন মগ জলদস্যু ও পর্তুগিজ আক্রমনের হাত থেকে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ সমগ্র এলাকাকে রক্ষা করার জন্য নির্মিত। সুরঙ্গ পথে ঢাকা লালবাগের কেল্লার সাথে যোগাযোগ ছিল বলে প্রচলিত আছে। সুউচ্চ প্রাচীর বিশিষ্ট এই দূর্গের প্রত্যেক কোনায় রয়েছে একটি বৃত্তকার বেষ্টনী। দূর্গাভ্যন্তর থেকে শক্র প্রতি গোলা নিক্ষেপের জন্য প্রাচীরের মধ্যে অসংখ্য চতুস্কোনাকার ফোকর রয়েছে। এক মাত্র খিলানাকার দরজাটি অবস্থান উত্তর ও পূর্ব দিকে দেয়ালের মাঝামাঝি ৩৩ মিটার ব্যাসের একটি গোলাকার উচুঁ মঞ্চ রয়েছে। দুর থেকে শক্রর চলাচল পর্যবেক্ষনের জন্য প্রায় প্রতি দূর্গে এই ব্যবস্থা ছিল।

শিমুলিয়া ফেরিঘাট পদ্মাসেতু :

          শিমুলিয়া ফেরিঘাট ও পদ্মাসেতু বর্তমান দেশের অন্যতম পর্যটক কেন্দ্র। এখানে প্রতিদিন শত শত লোকের সমাগম হয়। ঢাকা ও দুর দুরান্ত থেকে পর্যটক আসেন এই ঘাটে, এখানে দাঁড়িয়ে স্বপ্নের পদ্মাসেতু ও পদ্মা নদীর আকাবাকা বিরল দৃশ্য উপভোগ করা যায়। পদ্মা নদীর নির্জনতা ঘিরে প্রকৃতির কোলে অথৈ জল রাশির মেলা, শীতল পরশ, নদীর মায়াবী পরিবেশ আর নদীর রাশি রাশি কনা উৎফুল্ল করে তুলে পর্যটকদের মন। এখানে পাওয়া যায় পদ্মা নদীর রুপালী ইলিশ। এঘাটে অনেক সুন্দর খাবার হোটেল রয়েছে, নদীর টাটকা ইলিশ খেতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক আসেন। এখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অনেক অনুষ্ঠান করে থাকেন। সরকারী ছুটিতে হাজার হাজার দর্শনার্থী এ ঘাটে আসেন, স্পীড বোড ও ট্রলার দিয়ে নদীর ও পদ্মাসেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ী :

          স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একটি নাম একটি ইতিহাস একটি গর্ব। তিনি ছিলেন একজন বাঙ্গালী পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীব বিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। গাছের প্রান আছে প্রবক্তা বাংলার কৃতি সন্তান জে.সি.বসুর আদি বাড়ী এই মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরে। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ী যা মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখালে অবস্থিত এবং বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। তার পৈতিক নিবাস মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের যেখানে এখন রাঢ়িখাল স্যার জে.সি.বোস ইনস্টিটিউশন ও কলেজ। তাদের পুরাতন দালানটি এখনও আছে যা ইতিমধ্যে সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের আওতায় নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ চলছে। স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ীটি ৬ কক্ষ বিশিষ্ট। বাড়িটির একটি কক্ষকে জাদুঘর হিসেবে রুপান্তর করা হয়েছে। এই বাড়িতে ৬টি দিঘী রয়েছে। তার পৈতৃক বাড়িটি ত্রিশ একর জায়গায় জগদীশ চন্দ্র বসুর কলেজ ও কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে। সেখানে ১৯২১ সালে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১১ সালে জগদীশ চন্দ্র বসু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। যা চলে জগদীশ চন্দ্র বসু ইনস্টিটিউশনের উদ্যোগে। কমপ্লেক্স নির্মিত হয়েছে জগদীশ চন্দ্র বসুর স্মৃতি জাদুঘর, পশু পাখির ম্যুরাল কৃত্রিম পাহাড়-ঝরনা ও সিঁড়ি বাধানো পুকুর ঘাট। জাদুঘরে জগদীশ চন্দ্র বসুর পোট্রেট, গবেষণাপত্র, হাতে লেখা পান্ড‍ুলিপি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল প্রাপ্তিতে তাকে লেখা চিঠি ও রবীন্দ্রনাথের বসুকে লেখা চিঠি, তেল রং দিয়ে আঁকা ১৭টি দুর্লভ ছবি, রয়্যাল সোসাইটিতে দেওয়া বক্ত‍ৃতার কপি এবং নানা দূর্লভ জিনিস রয়েছে।

অতীশ দীপংকরের জন্ম ভিটা :

          অতীশ দীপংকর শ্রীজ্ঞান হলেন একজন প্রখ্যাত পন্ডিত যিনি পাল সম্রাজের আমলে একজন বৌদ্ধভিক্ষু এবং বৌদ্ধ ধর্মপ্রচারক ছিলেন। তিনি ৯৮২ খ্রিস্টাব্দে বিক্রমপুর পরাগনার ব্রজযোগীনি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। এটি বর্তমানে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলায় অন্তর্ভুক্ত। অতীশ দীপংকরের বাসস্থান “এখনো নাস্তিক পন্ডিতের ভিটা নামে পরিচিতি”। অতীশ দীপংকর গৌরিয় রাজ পরিবারে রাজা কল্যান শ্রী ও প্রভাবতির মাধ্যমে সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহন করেছিলেন। ছোটবেলায় তার নাম ছিল আদিনাথ চন্দ্রগর্ভ। তিন ভাইয়ের অতীশ ছিলেন দ্বিতীয় তার অপর দুই ভাইয়ের নাম ছিল পদ্মগর্ভ ও শ্রী গর্ভ। অতীশ খুব অল্প বয়সে বিয়ে করেন। কথিত আছে তার পাঁচ স্ত্রীর গর্ভে নয়টি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করেন।  তবে পুন্যশ্রী নামে একটি পুত্র সন্তানের কথা জানা যায়, যিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহন করেন মায়ের কাছে। তিন বছর সংস্কৃত ভাষায় পড়তে শেখা ও দশ বছর নাগাদ বৌদ্ধ ও অবৌদ্ধ শাস্ত্রের পার্থক্য বুঝতে পারার বিরল প্রতিভার প্রদর্শন করেন তিনি। মহাবৈয়াকরন বৌদ্ধ পন্ডিত যেত্রির পরামর্শ অনুযায়ী তিনি নালন্দায় শাস্ত্র শিক্ষা করতে যান। তিনি তিব্বতের বিভিন্ন অংশে ভ্রমন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের ব্যাপক সংস্কার সাধন করেন। এই প্রখ্যাত পন্ডিত ১০৫৪ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু বরন করেন। বর্তমানে এই দর্শনীয় স্থানটি বৌদ্ধ ভিক্ষু বিমালা নন্দ পরিচালনা করেন।

সোনারং মন্দির :

          সোনারং জোড়া মঠ বাংলাদেশের অষ্টাদশ শতাব্দির একটি প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। এটি মুন্সিগঞ্জ জেলার টংগিবাড়ি উপজেলার সোনারং গ্রামে অবস্থিত। কথিত ইতিহাসে জোড়া মঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেও মূলত এটি জোড়া মন্দির। মন্দিরের একটি প্রস্তর লিপি থেকে জানা যায় এলাকার রুপচন্দ্র নামে হিন্দু লোক বড় কালি মন্দিরটি ১৮৪৩ সালে ও ছোট মন্দিরটি ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করেন। ছোট মন্দিরটি মূলত শীব মন্দির। বড় মন্দিরটি উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার। সোনারং গ্রামে একসময় হিন্দু সম্প্রদায়ের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। কথিত আছে শ্রী রুপচন্দ্রের অস্তেষ্টিক্রিয়া এখানেই সম্পন্ন হয়েছে।

আড়িয়াল বিল :

          বর্ষকালে অথৈ জলরাশি আর শীতকালে বিস্তীর্ণ সবুজ শস্যক্ষেতে পূর্ণ দেশের মধ্যাঅঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন বিলের নাম আড়িয়াল বিল (Arial Bil)। ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ এবং মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর ও সিরাজদীখান উপজেলার প্রায় ১৩৬ বর্গকিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই বিলের অধিকাংশ অংশ মুন্সিগঞ্জ জেলার অন্তর্ভুক্ত। ধারণা করা হয়, প্রাচীনকালে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের মিলনস্থল নদীর প্রবাহের ফলে শুস্ক হয়ে যাওয়ার কারণে মুন্সিগঞ্জ জেলার পদ্মা ও ধলেশ্বরী নদীর মাঝে আড়িয়াল বিলের উৎপত্তি। প্রকৃতির আপার সৌন্দর্যে সাজানো আড়িয়াল বিল ঋতুভেদে নতুন নতুন বৈচিত্রের প্রকাশ ঘটে। বর্ষকালে সবুজে ঘেরা বিলের স্বচ্ছ পানিতে শাপলা, কচুরি পানার ফুল এবং নানা জাতের পাখির উপস্থিতি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে অনন্য মাত্র যুক্ত করে। আর শীতকালে বিলে স্থলভাগে নানা ধরণের শীতকালীন সবজির চাষ করা হয়। শাপলা তোলা, নৌকায় চড়ে মাছ ধরা এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য ভ্রমনকারী সময় কাটাতে ছুটে আসেন আপন রুপে অনন্য আড়িয়াল বিলে।

ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি:

          জমিদার যদুনাথ সাহা আনুমানিক ১৯০০ শতকে মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামে ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি (Vaggokul Palace) নির্মাণ করেন। যদুনাথ সাহা মূলত ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি বরিশাল থেকে লবণ, সুপারি, শাড়ি ইত্যাদি পণ্য আমদানি করে মুর্শিদাবাদে রপ্তানি করতেন। মানিগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ির সাথে দুই তলা ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি বেশ সাদৃশ্য রয়েছে। ভবনের সামনে রয়েছে ৮টি থাম, যা মূলত গ্রীক স্থাপত্য শিল্পের বৈশিষ্ট নির্দেশ করে। মূল ভবনের ভেতরের দেয়ালে ময়ূর, সাপ ও বিভিন্ন ফুল-পাখির নকশা অঙ্কিত রয়েছে।  ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি দরজা ও জানালাগুলো একই আকারের ফলে বদ্ধ অবস্থায় দরজা-জানালার অনুমান করা বেশ কঠিন। বাড়ির সমস্ত জায়গা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে মূল ভবন, আর তার মাঝ খানে উঠোনের অবস্থান। বাড়ির একতলা থেকে দোতলায় চলাচলের জন্য আছে একটি কাঠের সিঁড়ি। যদুনাথ সাহা তাঁর ৫ ছেলে মেয়ের জন্য পৃথক পৃথক বাড়ি নির্মাণ করে দেন। বাড়িগুলো স্থানীয় মানুষের কাছে কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ি, উকিল বাড়ি, জজ বাড়ি এবং ভাগ্যকুল জমিদার বাড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে। এক বাড়ি হতে আরেক বাড়ির দুরত্ব ৪০ থেকে ৫০ গজ। তবে বান্দুরায় অবস্থিত ভাগ্যকুল জমিদার বাড়িটি বর্তমানে অপেক্ষাকৃত ভাল অবস্থায় রয়েছে।